নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে, শনিবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। আর সায়েন্স ল্যাবে নিহত হন ৩ জন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আপাতত উদ্ধার কাজ স্থগিত রয়েছে।
বিস্ফোরণের পরই উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজ করেছেন। বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্যাকেটবন্দি করে রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী। তবে সবার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ কাজ করা হবে। সেনাবাহিনী যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে, আরও আসছে। এ ভবনটি এখন স্টেবল করতে হবে। না হলে ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ভেতরে কতজন আছে সে সংখ্যাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, এমনভাবে বিস্ফোরণে ভবনটি ধসে পড়েছে যে ভেতরে ঢোকার কোনো অবস্থা নেই। জায়গায় জায়গায় ইট ঝুলে আছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছি। আমরা বের হওয়ার পর আরেকটি টিম ভেতরে ঢুকেছে।
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق