ঢাকায় ফের বিস্ফোরণ: নিহত ১৭, আহত শতাধিক - Bd Online Earning Apps

Breaking

Breaking News

Post Top Ad

Post Top Ad

الثلاثاء، 7 مارس 2023

ঢাকায় ফের বিস্ফোরণ: নিহত ১৭, আহত শতাধিক


 নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে, শনিবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। আর সায়েন্স ল্যাবে নিহত হন ৩ জন।  

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আপাতত উদ্ধার কাজ স্থগিত রয়েছে।

পাশের সাকি প্লাজা নামে পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্থান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।  

বিস্ফোরণের পরই উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এ ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজ করেছেন। বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্যাকেটবন্দি করে রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী। তবে সবার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিস্ফোরিত ভবন থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভেতরে আরও মানুষ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকেই তাদের স্বজনদের হাসপাতাল ও মর্গে না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের কাছে রয়েছেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় উদ্ধার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভবনের বেজমেন্ট এবং নিচতলা একদমই ধসে গেছে। ভবন নাজুক হয়ে গেছে, কলাম ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। এটাকে ‘শোরিং’ করে (কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায়) উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

তিনি জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ কাজ করা হবে। সেনাবাহিনী যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে, আরও আসছে।  এ ভবনটি এখন স্টেবল করতে হবে। না হলে ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ভেতরে কতজন আছে সে সংখ্যাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, এমনভাবে বিস্ফোরণে ভবনটি ধসে পড়েছে যে ভেতরে ঢোকার কোনো অবস্থা নেই। জায়গায় জায়গায় ইট ঝুলে আছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছি। আমরা বের হওয়ার পর আরেকটি টিম ভেতরে ঢুকেছে।

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق

Post Top Ad